স্কুল ভর্তির নোটিশ ২০২৫: দেশের সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহানগর ও জেলা সদর উপজেলায় অবস্থিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানিয়েছে, আগামী ১২ নভেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। এই আবেদন চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। পরে ডিসেম্বর মাসে লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
স্কুল ভর্তির নোটিশ ২০২৫
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম এই লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। এর আগে শুধুমাত্র প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হতো। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় থেকে প্রথম শ্রেণিসহ সকল শ্রেণিতে এই পদ্ধতি কার্যকর করা হয়েছে।
সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোকে এই প্রক্রিয়া শুরু করতে ৩০ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে শূন্য আসনের তথ্য দাখিল করতে হবে। এই তথ্য প্রদান নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সম্পন্ন করতে হবে এবং কোন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৫ জনের বেশি হবে না।
ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোকে বিশেষ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে ক্যাচমেন্ট এলাকা হিসেবে নির্ধারণ করবেন। এই এলাকাগুলোর শিক্ষার্থীরাই বিশেষ অগ্রাধিকার পাবে।
কোটার নতুন পরিবর্তন
এই বছরের ভর্তিতে কিছু কোটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের নিয়ম অনুযায়ী, মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা নাতি-নাতনিদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা বরাদ্দ ছিল। এবার কোটার ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্য ৫ শতাংশ কোটা বরাদ্দ রাখা হবে। এই কোটা পূরণ না হলে মেধাতালিকা থেকে আসন পূরণ করা হবে।
স্কুল ভর্তির অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া
অনলাইনে ভর্তি আবেদন করতে প্রবেশপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা মাউশির নির্ধারিত ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবে। আবেদন করার পর নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের লটারি ফলাফল মাউশি প্রকাশ করবে। এই ফলাফল ভিত্তিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে এবং জানুয়ারি থেকে নতুন ক্লাস শুরু হবে।
কার্যক্রম | সময়সীমা |
---|---|
আবেদন গ্রহণ শুরু | ১২ নভেম্বর, ২০২৪ |
আবেদন গ্রহণ শেষ | ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ |
লটারি অনুষ্ঠিত হবে | ডিসেম্বর, ২০২৪ |
লটারির মাধ্যমে ভর্তির ইতিবাচক দিক
লটারির মাধ্যমে ভর্তি শিক্ষার্থীদের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করে। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা মেধার ভিত্তিতে ভর্তি হতে পারে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অবৈধ প্রভাব কমে এবং অভিভাবকদের মধ্যে স্বচ্ছতার আস্থা বাড়ে।
এছাড়া, অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রমের ফলে ভর্তি প্রক্রিয়াটি সহজ ও গতিশীল হয়েছে। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা সহজেই ঘরে বসে আবেদন করতে পারেন, যা ভর্তির চাপকে কমায়। প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে ভর্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সুবিচার নিশ্চিত করেছে।
আগামী শিক্ষাবর্ষে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির জন্য লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই কার্যক্রমটি আরও সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অভিভাবকরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দিয়ে এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন।