২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) প্রণীত নীতিমালার ভিত্তিতে এই ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ভর্তির নিয়মাবলী, ফি, কোটাসহ বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে হবে টেলিটকের ওয়েবসাইট (http://dgme.teletalk.com.bd) থেকে। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা, যা শুধুমাত্র টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া ৩ ফেব্রুয়ারি, দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে। আবেদন প্রক্রিয়া ৯ মার্চ, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলবে। আবেদন ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১০ মার্চ, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৪-২০২৫
কার্যক্রম | তারিখ | সময় |
---|---|---|
অনলাইন আবেদন শুরু | ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | দুপুর ১২টা |
অনলাইন আবেদনের শেষ তারিখ | ৯ মার্চ ২০২৫ | রাত ১১টা ৫৯ মিনিট |
আবেদন ফি জমা শেষ | ১০ মার্চ ২০২৫ | রাত ১১টা ৫৯ মিনিট |
তালিকা প্রকাশ এবং এসএমএস প্রদানের তারিখ | ১৭ মার্চ ২০২৫ | — |
প্রথম নিশ্চয়নের শেষ তারিখ | ১৯ মার্চ ২০২৫ | — |
দ্বিতীয় নিশ্চয়নের এসএমএস প্রদান | ২২ মার্চ ২০২৫ | — |
দ্বিতীয় নিশ্চয়নের শেষ তারিখ | ২৫ মার্চ ২০২৫ | — |
ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২৫ | — |
ভর্তি শুরু | ৩ এপ্রিল ২০২৫ | — |
ভর্তির শেষ তারিখ | ১২ এপ্রিল ২০২৫ | — |
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ আবেদন প্রক্রিয়ার নিয়মাবলী
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীদের অনলাইন ফর্ম পূরণ করতে হবে। আবেদন করার আগে www.dgme.gov.bd এবং www.dghs.gov.bd ওয়েবসাইটে দেওয়া নির্দেশিকা ভালোভাবে পড়ে পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্র পূরণের সময় সকল তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক।
আবেদন ফর্ম পূরণ শেষে আবেদন ফি ৩০০ টাকা টেলিটকের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। এই ফি দুই ভাগে বিভক্ত, যেখানে ২০০ টাকা আবেদন ফি এবং ১০০ টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে প্রযোজ্য।
যেসব শিক্ষার্থী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন, কেবল তারাই এই আবেদন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
ভর্তি ফি এবং লেনদেনের নিয়ম
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রযোজ্য হবে। সরকারি নীতিমালার বাইরে কোনো অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না। সকল ধরনের লেনদেন কেবল ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ সংরক্ষিত কোটা প্রযোজ্য হবে। এই কোটা মূলত মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য নির্ধারিত। তবে এই সংরক্ষিত কোটার ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক গৃহীত সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুসরণ করা হবে।
অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শেষে ১৭ মার্চ তারিখে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। যারা তালিকাভুক্ত হবেন, তাদের নিশ্চয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রথম নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়া শেষ হবে ১৯ মার্চ।
দ্বিতীয় ধাপে নিশ্চিতকরণের জন্য এসএমএস প্রেরণ করা হবে ২২ মার্চ, এবং তা শেষ হবে ২৫ মার্চ। এরপর ২৭ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে ৩ এপ্রিল, এবং তা শেষ হবে ১২ এপ্রিল।
ভর্তি বাতিলের শর্তাবলী
বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, আবেদনপত্রে দেওয়া তথ্য যদি অসম্পূর্ণ বা ভুল প্রমাণিত হয়, তবে সেই আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে। কলেজ নির্ধারণ ও ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের (www.dgme.gov.bd) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (www.dghs.gov.bd) ওয়েবসাইটে। এছাড়া আবেদন ফরম প্রক্রিয়াকরণ, তালিকা নির্ধারণ ও ভর্তি নিশ্চিতকরণ সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সংক্ষিপ্ত
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
ভর্তি ফি | সরকার কর্তৃক নির্ধারিত (৩০০ টাকা আবেদন ফি) |
আবেদন প্রক্রিয়া | অনলাইনে (টেলিটকের মাধ্যমে) |
সংরক্ষিত কোটা | মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের জন্য ৫ শতাংশ |
আবেদন ফি জমার মাধ্যম | টেলিটক প্রি-পেইড |
লেনদেন ব্যবস্থা | শুধুমাত্র ব্যাংকের মাধ্যমে |
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য এই বিজ্ঞপ্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদন করলে ভর্তির সুযোগ লাভ করা সম্ভব হবে। যেকোনো বিভ্রান্তি এড়াতে বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনাগুলো সতর্কতার সঙ্গে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মেডিকেল ভর্তির তথ্য সবার আগে দেখতে ওয়েবসাইটের এই ক্যাটাগরি ঘুরে দেখুন।