অনার্স ভর্তি আবেদন করার নিয়ম ২০২৫ বিস্তারিত জানুন।

অনার্স ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়েছে। যারা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন এবং অনার্স ভর্তি হতে চান, তারা সহজেই ঘরে বসে নিজের মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ এবং ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা যাবে। আজ আমরা আবেদন করার পদ্ধতি, ওয়েবসাইটের লিংক এবং প্রক্রিয়ার বিস্তারিত দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (http://app11.nu.edu.bd/) প্রবেশ করতে হবে। এখানে আবেদন প্রক্রিয়া মোট পাঁচটি ধাপে বিভক্ত। প্রতিটি ধাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই ধৈর্য ধরে এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে। নিচে প্রতিটি ধাপ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

অনার্স ভর্তি আবেদন করার নিয়ম ২০২৫

প্রথম ধাপে শিক্ষার্থীকে তার শিক্ষাগত তথ্য পূরণ করতে হবে। এখানে এসএসসি এবং এইচএসসির রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বোর্ডের নাম এবং পাসের সাল উল্লেখ করতে হবে।

তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করার পরে এগুলো আরেকবার চেক করে নিতে হবে। এরপর নেক্সট বাটনে ক্লিক করলে শিক্ষার্থী পরবর্তী ধাপে চলে যাবে।

দ্বিতীয় ধাপে শিক্ষার্থীর দেওয়া সকল তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই করা হবে। এই ধাপে শিক্ষার্থীকে কোনো তথ্য নতুন করে যুক্ত করতে হবে না।

এখানে তার এসএসসি এবং এইচএসসির ফলাফল, নাম, পিতামাতার নাম, লিঙ্গ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদর্শিত হবে। যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তাহলে নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে।

কলেজ এবং বিষয় পছন্দ

তৃতীয় ধাপটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে শিক্ষার্থীকে তার পছন্দমতো কলেজ এবং বিষয় নির্বাচন করতে হবে।

  1. প্রথমেই শিক্ষার্থীর সামনে একটি তালিকা আসবে যেখানে তার যোগ্যতার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া কলেজ এবং বিষয়গুলো দেখানো হবে।
  2. শিক্ষার্থী তার জেলা, বিভাগ এবং কলেজের নাম নির্বাচন করবে।
  3. এরপর ঐ কলেজে কোন কোন বিষয় এবং আসন ফাঁকা রয়েছে, তা প্রদর্শিত হবে।
  4. শিক্ষার্থী সর্বমোট ১৫টি বিষয় পর্যন্ত নির্বাচন করতে পারবে।

এ ধাপে শিক্ষার্থীকে ধৈর্য ধরে সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে, কারণ এর ওপরই তার ভর্তির সুযোগ নির্ভর করবে।

কোটা নির্বাচন

যদি শিক্ষার্থীর কোনো কোটা সুবিধা থাকে (যেমন মুক্তিযোদ্ধা কোটা, খেলোয়াড় কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা), তাহলে এই ধাপে তা উল্লেখ করতে হবে।

  1. কোটা থাকলে ইয়েস অপশনে ক্লিক করে বিস্তারিত তথ্য পূরণ করতে হবে।
  2. কোটা না থাকলে নো অপশনে ক্লিক করতে হবে।

এই ধাপে দেওয়া তথ্যও সঠিক হতে হবে, কারণ ভুল তথ্য দিলে পরবর্তীতে আবেদন বাতিল হতে পারে।

ছবি আপলোড এবং আবেদন সাবমিট

শেষ ধাপে শিক্ষার্থীকে তার পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপলোড করতে হবে।

  1. ছবির সাইজ ৫০ কেবি এবং মাত্রা ১৫০ পিক্সেল × ১২০ পিক্সেল হতে হবে।
  2. এরপর শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল ঠিকানা দিতে হবে। মোবাইল নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক।
  3. সবশেষে প্রিভিউ অপশনে ক্লিক করে পুরো আবেদনটি যাচাই করতে হবে।

যদি সব তথ্য সঠিক থাকে, তাহলে সাবমিট অ্যাপ্লিকেশন অপশনে ক্লিক করতে হবে। আবেদন জমা হওয়ার পর শিক্ষার্থীর কাছে একটি অ্যাডমিশন রোল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

আবেদন ফরম ডাউনলোড এবং জমা দেওয়ার নিয়ম

আবেদন জমা দেওয়ার পর শিক্ষার্থী তার আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে নিতে পারবে। ডাউনলোড করা ফরমটি প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট কলেজে জমা দিতে হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ এই ফরম যাচাই করে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।

১. শিক্ষার্থী ঘরে বসেই মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে।
২. প্রক্রিয়াটি স্বয়ংক্রিয় হওয়ায় সময় কম লাগে।
৩. আবেদন ফরম প্রিন্ট এবং জমা দেওয়ার সুযোগ থাকায় ঝামেলা কম হয়।
৪. কোটার মাধ্যমে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা সহজেই আবেদন করতে পারে।

সবশেষে প্রয়োজনীয় তথ্য

  • আবেদন প্রক্রিয়া শুরুর আগে অবশ্যই এসএসসি এবং এইচএসসির সার্টিফিকেট ও মার্কশিট প্রস্তুত রাখতে হবে।
  • ওয়েবসাইটের লিংক (http://app11.nu.edu.bd/) মনে রাখুন এবং প্রয়োজনে বুকমার্ক করে রাখুন।
  • আবেদন করার সময় মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল সঠিকভাবে উল্লেখ করতে ভুলবেন না।

কোনো ভুল তথ্য প্রদান করা যাবে না। সময়মতো আবেদন ফরম প্রিন্ট করে জমা দিতে হবে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আবেদন করতে হবে। অনার্স ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ এবং প্রযুক্তি-নির্ভর। যারা উচ্চশিক্ষা অর্জনে আগ্রহী, তাদের জন্য এই প্রক্রিয়া একটি বড় সুযোগ। সঠিক নিয়ম মেনে আবেদন করলে আপনি সহজেই আপনার পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারবেন। আপনি এই ওয়েবসাইটে আরও ইনফর্মেশন জানতে কিভাবে ক্যাটাগরিতে ভিজিট করুন।

হাই, আমি অনির্বান। আমি একজন প্রফেশনাল ব্লগ রাইটার। শিক্ষা সম্পর্কিত আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

Leave a Comment