এই আর্টিকেল পড়লে আপনি অনার্স ৪র্থ বর্ষের রেজাল্ট ২০২৪ কবে দিবে তা আপনি জানতে পারবেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২২ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত করা হবে। এটি ২০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রকাশ করা হবে। এই ফলাফল প্রকাশের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ফলাফল পাওয়ার বিভিন্ন নিয়মের পাশাপাশি পরীক্ষার পাসের হার, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও বিষয় সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হবে।
অনার্স ৪র্থ বর্ষের রেজাল্ট ২০২৪ কবে দিবে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে ২০২২ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ফলাফল বিকেল ৫টা থেকে SMS-এর মাধ্যমে মোবাইলে দেখা যাবে। তবে রাত ৯টার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে বিস্তারিত মার্কশিট সহ ফলাফল পাওয়া যাবে।
২০২২ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষের এই পরীক্ষায় মোট ৬৭৬টি কলেজের ২ লাখ ১৪ হাজার ৮৪৪ জন শিক্ষার্থী ৩০টি বিষয়ে অংশগ্রহণ করেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এবার পরীক্ষার গড় পাশের হার ৭২ শতাংশ। এটি সাম্প্রতিক বছরের গড় পাশের হারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে।
মোবাইলের মাধ্যমে অনার্স ৪র্থ বর্ষের রেজাল্ট দেখার পদ্ধতি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন। এজন্য যেকোনো মোবাইল ফোনের মাধ্যমে SMS পাঠিয়ে ফলাফল জানার ব্যবস্থা রয়েছে।
ফলাফল জানতে SMS পাঠানোর নিয়ম: NU H4 RegNo (শেষের ৭ ডিজিট) লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। যেমন: NU H4 1234567। বিশেষ করে টেলিটক মোবাইল ব্যবহার করলে ফলাফল দ্রুত পাওয়া যাবে।
ওয়েবসাইটে অনার্স ৪র্থ বর্ষের রেজাল্ট দেখার পদ্ধতি
যারা মোবাইলের পরিবর্তে ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল দেখতে চান, তাদের জন্যও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা www.nu.ac.bd বা www.nubd.info ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফলাফল দেখতে পারবেন। মার্কশিট সহ বিস্তারিত ফলাফল দেখার জন্য এখানে (https://shorturl.at/oyw2i) ক্লিক করতে হবে।
সিজিপিএ (CGPA) ফলাফল প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সমন্বিত ৪ বছরের সিজিপিএ (CGPA) ফলাফল আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হবে। এই CGPA ফলাফল শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পারফরম্যান্সের সামগ্রিক মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হবে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের চার বছরের একীভূত ফলাফল জানতে পারবে, যা তাদের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে।
অনার্স ৪র্থ বর্ষের ফলাফল প্রকাশ শিক্ষার্থীদের জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কারণ এই ফলাফল তাদের উচ্চতর শিক্ষায় ভর্তি এবং পেশাগত জীবনে প্রবেশের পথে সহায়ক। সিজিপিএ বা চূড়ান্ত ফলাফলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক মেধার সার্বিক চিত্রটি জানতে পারেন, যা তাদের চাকরির ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দেয়।
অনেক শিক্ষার্থী, যারা তাদের অনার্স জীবন শেষ করেছে, এই ফলাফল প্রকাশের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। কিছু শিক্ষার্থী ভালো ফলাফলে আনন্দিত হলেও, কেউ কেউ সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তবে পাসের হার ৭২ শতাংশ হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের এ পারফরম্যান্সকে যথাযথ মনে করছে।
প্রতিবছরের মতো এবারও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সময়মতো ফলাফল প্রকাশ করেছে। তবে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা হতাশা দেখা গেছে, কারণ অনেক শিক্ষার্থী মোবাইল ও ওয়েবসাইট উভয় মাধ্যমেই একসাথে ফলাফল জানতে চায়। কিন্তু ফলাফল বিকেল ৫টা থেকে SMS-এর মাধ্যমে এবং ওয়েবসাইটে রাত ৯টা থেকে দেখার সুযোগ দেয়ায় কিছুটা ভোগান্তি হয়েছে।
অনার্স ৪র্থ বর্ষের রেজাল্ট জানার প্রয়োজনীয়তা
ফলাফল জানা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি তাদের পরবর্তী শিক্ষা, ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সহায়ক। শিক্ষার্থীদের উচিত নিজেদের ফলাফল দেখে পরবর্তী পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা। যারা ভালো ফলাফল করেছেন তাদের জন্য এটি এক ইতিবাচক প্রাপ্তি এবং তাদের পরবর্তী শিক্ষা বা ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় আত্মবিশ্বাস যোগাবে। অন্যদিকে, যারা আশানুরূপ ফলাফল করতে পারেনি তাদেরও হতাশ না হয়ে পরবর্তী সুযোগগুলোর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা উচিত।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে ফলাফল দেখার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে পরীক্ষার দিন রাত ৯টার পর ওয়েবসাইটে ভিড়ের কারণে অনেক সময় সাইটটি ধীরগতিতে কাজ করে। এটি শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যদিও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার্থীদের জন্য সহজে ও দ্রুত ফলাফল দেখার পদ্ধতি রাখার চেষ্টা করা হয়েছে, তবুও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির উচিত তাদের ওয়েবসাইট আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ফলাফল প্রকাশ শিক্ষার্থীদের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এই ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের অধ্যবসায়ের মূল্যায়ন পায় এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় নতুন দিশা খুঁজে পায়। তবে পরীক্ষার্থীদের জন্য শুধুমাত্র ফলাফল প্রকাশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে আরও সঠিকভাবে তথ্যপ্রাপ্তি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সচেতন হওয়া প্রয়োজন। শিক্ষা বিষয়ক যেকোনো তথ্য সবার আগে সঠিকভাবে পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।