দ্বাদশ শ্রেণিতে অনলাইন টিসি ও বিষয় পরিবর্তনের সময় বৃদ্ধি: ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এসেছে।
শিক্ষার্থীদের অনলাইন টিসি, বিষয়, গ্রুপ, ভার্সন, শিফট ও ছবি পরিবর্তনের সময়সীমা বেড়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ স্বস্তির একটি খবর। সময়সীমা ৩১ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই কার্যক্রমটি শুরু হয়েছিলো ২৮ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে।
দ্বাদশ শ্রেণিতে অনলাইন টিসি ও বিষয় পরিবর্তনের সময় বৃদ্ধি
শিক্ষার্থীরা অনলাইন মাধ্যমে এসব পরিবর্তন করতে সক্ষম হচ্ছে। তবে অনেক শিক্ষার্থী এখনো এই পরিবর্তনগুলো সঠিকভাবে করতে পারেনি বা করার জন্য যথেষ্ট সময় পায়নি। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এবং প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ করতে, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এই সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়, যা ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত হয়।
কী কী পরিবর্তন করা যাবে।
শিক্ষার্থীরা অনেক বিষয়ে পরিবর্তন করতে পারবে। এতে রয়েছে:
- অনলাইন টিসি (Transfer Certificate)
- বিষয় পরিবর্তন
- বিভাগ/গ্রুপ পরিবর্তন
- শিফট পরিবর্তন
- ভার্সন পরিবর্তন
- ছবি পরিবর্তন
এই প্রক্রিয়াগুলো শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে অনলাইনে করা যাবে। তবে শিক্ষার্থীদের বোর্ডে সরাসরি যোগাযোগের প্রয়োজন নেই।
প্রতিটি পরিবর্তনের জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি ধার্য করা হয়েছে। ঢাকা বোর্ড আগেই জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের বিষয় পরিবর্তনে ২০০ টাকা লাগবে। অন্যদিকে, বিভাগ বা গ্রুপ পরিবর্তনে ৮০০ টাকা ফি দিতে হবে। যারা অনলাইন টিসি বা বিটিসি (Board Transfer Certificate) নিতে চায়, তাদের জন্য ৭০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে যারা ভর্তি বাতিল করতে চায়, তাদের জন্য ৬০০ টাকা ফি দেওয়া বাধ্যতামূলক।
শিক্ষার্থীরা শিফট, ভার্সন এবং ছবি পরিবর্তন করতে চাইলে কোনো ফি দিতে হবে না। চতুর্থ বিষয় বাতিলেও কোনো ফি ধার্য করা হয়নি।
শিক্ষার্থীদের জন্য পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে করা বেশ সহজ। বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী বিষয় পরিবর্তন, বিভাগ পরিবর্তন, গ্রুপ পরিবর্তন কিংবা টিসি নিতে চায়, তাদের জন্য সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করা আবশ্যক।
এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ডকুমেন্টস সঠিকভাবে আপলোড করতে হবে।
সময়সীমা
এই পরিবর্তনের শেষ তারিখ ৩১ অক্টোবর, ২০২৪। তাই শিক্ষার্থীরা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো করে নেয়। কারণ এরপর আর সময় বাড়ানোর সম্ভাবনা কম। যারা এখনো এসব পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু করেনি, তাদের এখনই এটি করে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এই অনলাইন প্রক্রিয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, শিক্ষার্থীদের আর বোর্ডে সরাসরি গিয়ে আবেদন করতে হবে না। অনলাইনে সহজেই সব কাজ করা সম্ভব। এতে সময়ও বাঁচে এবং চাপও কম থাকে।
তবে অনেক শিক্ষার্থী এখনো অনলাইন সিস্টেমে পুরোপুরি স্বচ্ছন্দ্য নয়। তাদের জন্য এই প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল হতে পারে। তবে বোর্ডের পক্ষ থেকে যথাযথ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং অনেক স্কুল থেকেও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
কেন সময় বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ?
শিক্ষার্থীরা প্রায়ই তাদের বিষয়, বিভাগ, কিংবা গ্রুপ পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। অনেক সময় প্রথমবার নির্বাচিত বিষয় বা বিভাগ তাদের জন্য সঠিক বলে মনে হয় না। এছাড়াও পরিবারের সাথে স্থান পরিবর্তনের কারণে অনলাইন টিসি এর প্রয়োজন হতে পারে।
অনেক শিক্ষার্থী প্রথমবার ভর্তি হওয়ার সময় ভিন্ন শিফট বা ভার্সনে ভর্তি হয়ে পরে তা পরিবর্তন করতে চায়। এসব পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে, সময় বাড়ানো খুবই জরুরি ছিল।
যেহেতু অনেক শিক্ষার্থী এখনো তাদের ফরম পূরণ বা বিষয় পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি, তাই বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
যে শিক্ষার্থীরা এই সময়ের মধ্যে তাদের পরিবর্তনের আবেদন সম্পন্ন করবে, তারা ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সম্পন্ন করতে পারবে। সময়মতো আবেদন না করলে, শিক্ষার্থীদের আর সুযোগ দেওয়া হবে না।
অনলাইনে আবেদনের পর, প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো চূড়ান্ত করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তবে, শিক্ষার্থীদের বোর্ডে সরাসরি গিয়ে কিছু করতে হবে না। অনলাইনে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
টিসি ও বিষয় পরিবর্তনের ভবিষ্যৎ নির্দেশনা
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ভবিষ্যতে অনলাইন প্রক্রিয়াগুলো আরও সহজ এবং দ্রুত করতে কাজ করছে। আগামী বছরগুলোতে এই প্রক্রিয়া আরও উন্নত হবে বলে আশা করা যায়।
শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন প্রক্রিয়ার এই সুবিধাগুলো বেশ সহায়ক এবং সময়সাপেক্ষ। তবে, যারা এখনও সঠিকভাবে অনলাইনে কাজ করতে পারছে না, তাদের বোর্ড থেকে সহায়তা পাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এই ব্লগটি লিখতে গিয়ে আমরা বোর্ডের দেওয়া সর্বশেষ নির্দেশিকা এবং সময়সীমা অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করেছি। আশা করা যায়, শিক্ষার্থীরা সময়মতো এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবে এবং তাদের প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো করতে সক্ষম হবে। শিক্ষা বিষয়ে সকল তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।