যারা অনার্স ভর্তি পরীক্ষা ২০২৫ নিয়ে যারা চিন্তিত বা আপডেট খোঁজার চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য এই লেখাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলে আমি অনার্স ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কিত সবচেয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সহজ ভাষায় তুলে ধরবো।
অনার্স ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক ৫টি আপডেট
২০২৫ সালে অনার্স ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের শেষ তারিখ
অনার্স ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। যারা এখনো আবেদন করেনি, তারা দেরি না করে দ্রুত আবেদন করে ফেলো। কারণ, সময় খুবই কম।
এসএমএস নোটিফিকেশন: আবেদন নিশ্চিতকরণ
আবেদন করার পর একটি এসএমএস পাবে। এই এসএমএসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে তোমার অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং ৭০০ টাকা পেমেন্ট নিশ্চিত করার তথ্য থাকবে। এই এসএমএসটি তোমার কলেজের নামসহ আসবে। যদি এই এসএমএস না পেয়ে থাকো, তাহলে অবশ্যই কলেজে যোগাযোগ করে ব্যাপারটা নিশ্চিত করে নাও। কারণ, এই এসএমএস না আসা মানে তোমার আবেদন চূড়ান্ত হয়নি।
সাধারণত, আবেদন ফর্ম জমা দেওয়ার পর ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে এই এসএমএস আসে। যদি এর বেশি সময় হয়ে যায়, তাহলে কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করো। কিছু কলেজ তো আবেদন ফি জমা দেওয়ার সাথে সাথেই এসএমএস পাঠিয়ে দেয়। তাই যদি তোমার এসএমএস না আসে, তাহলে দেরি না করে কলেজে গিয়ে ব্যাপারটা স্পষ্ট করে নাও।
আসন বন্টন: কোন বিভাগে কত আসন?
অনার্স ভর্তি পরীক্ষায় তোমার পছন্দের বিষয়ে চান্স পেতে হলে আসন বন্টন সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা আসন বরাদ্দ করেছে। যেমন:
- মানবিক বিভাগের
বিষয়গুলোতে ৭০% আসন মানবিকের শিক্ষার্থীদের জন্য, ১৫% ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য এবং ১৫% বিজ্ঞান বিভাগের জন্য বরাদ্দ।
- বিজ্ঞান বিভাগের
বিষয়গুলোতে ১০০% আসন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত।
- ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের
বিষয়গুলোতে ৭০% আসন ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য এবং বাকি ১৫% মানবিক ও ১৫% বিজ্ঞান বিভাগের জন্য বরাদ্দ।
কোটার বিষয়: ভর্তির ক্ষেত্রে কোটার প্রভাব কতটা?
অনার্স ভর্তি পরীক্ষায় কোটা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৩ ধরনের কোটা রয়েছে:
- মুক্তিযোদ্ধা কোটা
- উপজাতি কোটা
- পোষ্য (Ward) কোটা
কোটার প্রভাব অনেক বেশি। যেমন, একজন শিক্ষার্থী যদি ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ১৪৫ পায়, তাহলে সে চান্স পেতে পারে। কিন্তু আরেকজন শিক্ষার্থী যদি ১৭০ পায়, তাহলেও সে চান্স পাবে না। কারণ, সে কোটার আওতায় পড়ছে না। তাই কোটার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
পরীক্ষার তারিখ এবং প্রস্তুতি
অনার্স ভর্তি পরীক্ষা ৩ মে অনুষ্ঠিত হবে। যারা ইতিমধ্যে আবেদন করেছে, তারা এখন থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগ দাও। কারণ, সময় খুবই কম। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য নিয়মিত পড়াশোনা করা এবং পুরনো প্রশ্নগুলো সমাধান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
চুড়ান্ত মন্তব্য
অনার্স ভর্তি পরীক্ষা ২০২৫ নিয়ে এই আপডেটগুলো তোমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন করার সময়সীমা, এসএমএস নিশ্চিতকরণ, আসন বন্টন, কোটার প্রভাব এবং পরীক্ষার তারিখ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নাও। যারা এখনো আবেদন করেনি, তারা দ্রুত আবেদন করে ফেলো। আর যারা আবেদন করেছে, তারা এখন থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগ দাও। আর অনার্স ভর্তি পরিক্ষা সংক্রান্ত সকল আপডেট পেতে ওয়েবসাইট ভিজিট করো।